১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: সকাল ১০ ঘটিকায় সোনাডাঙ্গা এলাকায় ধ্রুব (DHRUBA) সংস্থার নেতৃত্বে এবং কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)-এর সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিনব প্রচারাভিযান নীতিনির্ধারক, নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একত্রিত করে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সংস্কারের মাধ্যমে দেশের টেকসই জ্বালানি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করছে। অংশগ্রহণকারীরা মানববন্ধন করে, ব্যানার উত্তোলন ও স্লোগান দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের অভাব, নীতির অসঙ্গতি ও পুরোনো অবকাঠামোর মতো বাধাগুলো তুলে ধরেন।বাংলাদেশের ১০০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে বাধাগুলো দূর করতে খুলনা এক রূপান্তরমূলক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ যখন জাতীয় পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তখন জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, অপ্রতুল অর্থায়ন, পুরোনো অবকাঠামো এবং নীতিগত শূন্যতা অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই আন্দোলন শুধু সমস্যাগুলোকেই তুলে ধরছে না, বরং নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সবার জন্য সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও কার্যকর করার জন্য সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত দাবি উপস্থাপন করছে।
প্রচারাভিযানটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি ওয়ান-স্টপ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে, যা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। এটি স্মার্ট গ্রিড ও নেট এনার্জি মিটারিং (NEM) প্রযুক্তি সংযুক্ত করার ওপর জোর দিচ্ছে, যাতে সৌর ও বায়ু শক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎসগুলো সহজেই জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে একীভূত হতে পারে। তদুপরি, প্রচারাভিযানটি জাতীয় বিদ্যুৎ বাজেটের অন্তত ২০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য বরাদ্দ করা এবং স্থানীয় ব্যাংকগুলোর জ্বালানি অর্থায়নের ২৫% নবায়নযোগ্য প্রকল্পে বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরঞ্জামের আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং "বিদ্যুৎ নেই, বিলও নেই" নীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাও এই আন্দোলনের প্রধান দাবির অংশ।
ধ্রুব খুলনার নির্বাহী পরিচালক রেখা মারিয়া বৈরাগী বলেন, "এই আন্দোলন শুধু পরিবেশগত উদ্যোগ নয়—এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপ। জ্বালানি নীতি সংস্কার এবং প্রধান বাধাগুলো দূর করার মাধ্যমে আমরা শুধু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করছি না, বরং এমন একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলছি, যা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উপকারে আসবে।"
ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খুলনার কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক উত্তম দাস বলেন, "বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই কর্মসূচি পরিষ্কার জ্বালানি সমাধান এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরছে, যা এই জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।" কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোশাররফ হোসেন, সুমা আইচ, সুপারভাইজার ধ্রুব, উত্তম দাস, কোষাধ্যক্ষ ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট খুলনা, প্রিয়াঙ্কা বৈরাগী, প্রোগ্রাম অফিসার ধ্রুব এবং রেখা মারিয়া বৈরাগী, নির্বাহী পরিচালক ধ্রুব।