খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অনিমেষ পালকে ঘিরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরঞ্জাম চুরি, টেন্ডার জালিয়াতি, শিক্ষার্থীদের জন্য কেনা গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারসহ নানান অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, সরকারদলীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তিনি ইনস্টিটিউটে নানা অনিয়মে যুক্ত হয়েছেন।

খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অনিমেষ পালকে ঘিরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরঞ্জাম চুরি, টেন্ডার জালিয়াতি, শিক্ষার্থীদের জন্য কেনা গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারসহ নানান অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, সরকারদলীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তিনি ইনস্টিটিউটে নানা অনিয়মে যুক্ত হয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে গত ৯ মে ইনস্টিটিউটের ভূগর্ভস্থ মূল সঞ্চালন লাইনের ক্যাবল চুরির ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকা সত্ত্বেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সুবিধা দিয়ে টেন্ডার কাজের মাধ্যমে অতিরিক্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করা ও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও গুরুতর।

গত মার্চ মাসে শিক্ষার্থীদের কাজ শেখানোর জন্য প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল কেনা হলেও, অধ্যক্ষ সেই গাড়ি নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসারে, বাজারে কম মূল্যে পাওয়া গেলেও তিনি ৫৫ লাখ টাকার বিল পাস করেছেন। একইভাবে, বিভিন্ন ঠিকাদারদের নিকট থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কম্পিউটার টেন্ডার নিয়ে অসংগতির অভিযোগও রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষ অনিমেষ পাল এ সমস্ত অভিযোগের বেশিরভাগই অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ডলার রেট বৃদ্ধির কারণে গাড়ির দাম বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীদের কাজ শেখানোর জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি মাঝেমধ্যে চালালে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এত দামি গাড়ি কেনার কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, অধ্যক্ষ অনিমেষ পাল সাম্প্রতিক সময়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর বিএনপি ও জামায়াতপন্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে তার সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এই তদন্তের মাধ্যমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনিয়ম ও দুর্নীতির আসল চিত্র সামনে আসবে।