উপজেলা প্রতিনিধি: ঢাকাসহ দেশের ৪৫ এর অধিক জেলায় চলছে তীব্র তাপদাহ। দিনের গড় তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রতিনিধি: ঢাকাসহ দেশের ৪৫ এর অধিক জেলায় চলছে তীব্র তাপদাহ। দিনের গড় তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

এই অবস্থায় আবারো ৭২ ঘন্টার "হিট এলার্ট" বা তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো "হিট এলার্ট" জারি করা হয়।
"এই সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে। ফলে গরমের অস্বস্তি কিছুটা বাড়তে পারে”, এক বিবৃতিতে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে।

এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়া রোববার চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এক্ষেত্রে বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে, সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরে থাকেন আবহাওয়াবিদরা।

এছাড়া তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে, সেটিকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।

আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

“কোনও বিশাল এলাকা জুড়ে যখন তাপপ্রবাহ হয়, তখন এরকম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়,” এক বিবৃতিতে জানান আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

গুরুত্বপূর্ণ লাইন: তীব্র গরমের কারণে ইতোমধ্যেই স্কুল-কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে এর মধ্যেও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে উপস্থিত " শান্ত-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি"। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই উল্লেখ করে বলেন, দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ উল্লেখযোগ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, ডেফোডিলসহ প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিলেও শান্ত- মরিয়ম সেখানে শিক্ষার্থীদের মতামত এর গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জানায় যে, "অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদেরকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারে না। আর আমাদের ক্লাসরুম গুলোও যথেষ্ট শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তাই শিক্ষার্থীদের তেমন বেশি অসুবিধা হ‌ওয়ার কথা না। এর পরেও যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তখন আমরা অন্য কিছু বিবেচনা করবো।"

এই বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থীও সহমত পোষণ করে বলেন, অনলাইন ক্লাস আমাদের পাঠ্যক্রমে বেগাত ঘটায় তাই যতদিন সম্ভব অফলাইন ক্লাস করাটাই যুক্তিপূর্ণ।