অন্তত ৫০০পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের বাড়িঘর হাঁটু থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত। স্থানীয় বাসিন্দা আলিমুদ্দিন জানান, রাতে বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করছেন। দুইদিন আগেও এরকম ছিল না ।

গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সাঘাটা উপজেলায়  15 টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ।  পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০০  পরিবার। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানের দিকে ছুটছেন। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন বন্যার্তরা। গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ ও ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায়  ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি  পয়েন্টে বিপদসীমার  উপরে   প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বাঁধ সংলগ্ন এলাকা  ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে কেতকিরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির দুইপাশে বৃষ্টির পানিতে ধসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানির চাপে যে কোন মুহূর্তে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সাঘাটা উপজেলায় ১৫ টি গ্রাম এখন পানির নিচে। দুপুরে গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলায়   সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অন্তত ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের বাড়িঘর হাঁটু থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত।  স্থানীয় বাসিন্দা  আলিমুদ্দিন  জানান, রাতে বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ  করছেন। দুইদিন আগেও এরকম ছিল না । এখন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন ।  তার ঘরে এক হাঁটুপানি। ঘরের মধ্যে চৌকি ইট দিয়ে উঁচু করে জিনিসপত্র রেখেছেন। তিনি আরও বলেন তার এখন পরিবার সহ  খাবারের ব্যবস্থা নেই । তারা বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।

 তাদের মত আরো অনেকেই বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন, এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে আরো অনেক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যেই বন্যার্তদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।