দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প সমৃদ্ধ জেলা গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় সম্প্রতি সময়ে ঘোড়ার মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প সমৃদ্ধ জেলা গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় সম্প্রতি সময়ে ঘোড়ার মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে এ খবর গণমাধ্যমে জড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে তীব্র আলোচনা- সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামাজিক মূল্যবোধ হুমকির মুখে পড়ে।পরে এ বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে ঘোড়ার মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার ( ১৯ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে,মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যােগে এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।এ সময়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া এই অভিযান চালান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন বলেন,দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি ওঠায় অভিযান চালানো হয়। এক বিক্রেতাকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
গাজীপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন,২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে এবং কোনো সনদ ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয়।এক বছরের জেলও হতে পারে।
ঘোরার মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,গরুতে চর্বি আছে, ঘোড়ার মাংসে কোনো চর্বি নেই। খেতেও গরুর মাংসের চেয়ে সুস্বাদু। খাওয়ার পর হাত ধুতে সাবান লাগে না। প্রথমে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি করি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়।