অভিযুক্তরা হলো মোস্তফা, গোলাপ হোসেন, আলী হোসেন, বরিশাল এলাকার বাসিন্দা এ এলাকায় বসবাসকারী সালাহ উদ্দিন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার সুমন, জাকির হোসেন এবং আতাবুরসহ তাদের ১৫/২০জন সহযোগীরা প্রতারক চক্রের ভূমিদস্যু প্রতারক চক্রের সহায়তায় আমাদের ভোগদখলীয় জমির ভূয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে।ভুক্তভোগী পরিরবারের পক্ষে রাজু আহম্মেদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, আমরা তিন ভাই, এক বোন।
আমাদের বাবা মৃত্যুর পর আমরা মাহনা ভবানীপুর মৌজার এসএ ৪৯০, আরএস ৬৭৬ খতিয়ানে এসএ ৪৪২, আরএস ৫১৩৮ দাগে পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে মোট ৫০ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রবেশের সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হলে সড়কঘেঁষে থাকা আমাদের জমিসহ দোকানপাট অধিগ্রহণ করলে আমরা জমির মালিক হিসেবে সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ পাই।তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে আমরা বাসভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা আমাদের নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে। পরে তারা গাজীপুর আদালতে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে।
রাস্তাঘাটে দেখা হলে তারা আমাদেরকে খুন করে লাশ গুম কারারও হুমকি দেয় এবং স্থানীয় লোকদের কাছে বলে বেড়ায় তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে খুন করে বস্তায় লাশ ভড়ে পাশের লবলং নদীর নর্দমায় ফেলে দিবে। তাদের অব্যাহত হুমকিতে আমিসহ আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষী ভূমিদস্যু প্রতারক চক্রের বিচার দাবি করছি।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিরবারের পক্ষে রাজু আহম্মেদ ও তাদের পরিাবরের সদস্যসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।