গোপালগঞ্জের বিভিন্ন বিল ও জলাভূমিতে এখন চোখে পড়ছে লাল শাপলার অপরূপ দৃশ্য। বর্ষার শেষ থেকে শরৎকাল পর্যন্ত জলাভূমির পানিতে ফুটে থাকা লাল শাপলা দর্শনার্থীদের মোহিত করছে। বিশেষ করে মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও সদর উপজেলার বিলগুলোতে হাজারো লাল শাপলা ফোটে প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করছে।


স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শাপলার সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যায়। লাল রঙের অসংখ্য শাপলা পানির বুক জুড়ে ফুটে থাকে। অনেকেই সকালবেলায় নৌকা নিয়ে বিলে ঘুরে বেড়ান এবং ছবি তুলেন। এতে স্থানীয় পর্যটনও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।


তবে শাপলার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বিচারে মাছ ধরা, পানি দূষণ ও বিল ভরাটের কারণে শাপলার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে আগামী দিনে হয়তো এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে।


পর্যটকরা জানান, গোপালগঞ্জের লাল শাপলার বিলগুলো সংরক্ষণ করা হলে তা একদিকে স্থানীয়দের আর্থিক উন্নয়ন ঘটাবে, অন্যদিকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।


প্রকৃতি প্রেমীরা তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শাপলার বিলগুলো রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।