গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সামনের একটি দোকানে মালামাল কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চারটি চাল নোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েন সদর উপজেলার কুয়াডাঙ্গা এলাকার নওশের শেখের ছেলে বাটু শেখ ও একই এলাকার হিরু চৌকিদারের ছেলে নুরু ড্রাইভার। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও দোকানদার সূত্রে জানা যায়, নুরু ড্রাইভার একটি প্রাইভেট কার নিয়ে এসে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বার্টু শেখ কে জাল টাকা দিয়ে মালামাল কিনতে পাঠায়, দোকানদার জাল টাকা টের পেয়ে বাটু কে মালামাল না দিয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডাক দেয়। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে প্রাইভেট কারে থাকা নুরু পালিয়ে যাবার সময় জনসাধারণের হাতে ধরা পড়ে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে। জানা যায় জাল টাকা গুলো বেশির ভাগই ৫০০ টাকার নোট। নিখুঁতভাবে তৈরি করা এই জাল টাকা সাধারণ মানুষের বোঝার কোন উপায় নাই । খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার পুলিশ এসে নুরুর প্রাইভেট কার তল্লাশি করে বহু জাল টাকা উদ্ধার করে। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে শহরের লঞ্চ ঘাট ও সদর হাসপাতালের সামনে থেকে ২০২৩ সালে ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা ডাকাতি মামলার আসামি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়ন হরিদাসপুর গ্রামের হিরু শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান ও পরে তার সঙ্গীয় একই ইউনিয়নের ফকির কান্দি গ্রামের নওশের আলী শেখের ছেলে রিপন শেখ ওরপে বাটু শেখকে গ্রেফতার করেন। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান জানান, রাতে শহরের লঞ্চঘাট ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে থেকে জাল টাকাসহ হাবিবুর রহমান ও রিপন শেখ ওরফে বাটু শেখকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে।