এখন দেব-দেবীর মুখ অবয়বের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ করেছি। চলছে রং-তুলির কাজ। হোগলার চট, ছালা ও মাটি দিয়ে মা দূর্গার শাড়ি বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিমন কুমার তালুকদার বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১২৭টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব দূর্গা পূজা আর মাত্র বাকি ৬ দিন। পূজার মূল উপাদান প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

তবে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ না হলেও হিন্দু ধর্মালম্বী অনেকেই ঘূরে বেড়াচ্ছেন মন্ডপে মন্ডপে। পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছে পুলিশে।এ বছর দেবী দূর্গা আসবেন দোলায়, মর্ত ত্যাগ করবেন ঘোটকে চরে। আগামী সোমবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠী তিথির মাধ্যমে দূর্গা পূজার মূল আয়োজন শুরু হবে। আগামী রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে দশমীতে মা-দূর্গাকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই মহাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় ১৯টি, কামদিয়া ইউনিয়নে ১০টি, কাটাবাড়ি ইউনিয়নে ৪টি, শাখাহারে ইউনিয়নে ৬টি, রাজাহারে ইউনিয়নে ৪টি, সাপমারা ইউনিয়নে ৮টি, নাকাই ইউনিয়নে ৫টি, দরবস্ত ইউনিয়নে ১০টি, তালুককানুপুর ইউনিয়নে ৯টি, হরিরামপুর ইউনিয়নে ১৫টি, ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ৪টি, রাখালবুরুজ ইউনিয়নে ৭টি, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নে ৩টি, কামারদহ ইউনিয়নে ৪টি, কোচাশহর ইউনিয়নে ৪টি, শিবপুর ইউনিয়নে ৪টি,মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে ১০টি এবং শালমারা ইউনিয়নে ১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল বুধবার (৩ অক্টোবর) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, মাটির কাজ শেষে এখন রং-তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আবার কেউ রং মিশিয়ে দিচ্ছেন। তাদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন তারা। প্রতিমার পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং-তুলির শেষ আঁচড় দেওয়া হচ্ছে। কেউ আবার সাজসজ্জার কাজ করছেন।রতন মালাকর নামের একজন প্রতিমা কারিগর বলেন, বেশিরভাগ মাটির কাজ শেষ।

এখন দেব-দেবীর মুখ অবয়বের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ করেছি। চলছে রং-তুলির কাজ। হোগলার চট, ছালা ও মাটি দিয়ে মা দূর্গার শাড়ি বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিমন কুমার তালুকদার বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১২৭টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এজন্য প্রতিটি মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাকরি সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ দূর্গা পূজা সম্পন্ন করতে পারবো আমরা।গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম. আছাদুজ্জামান বলেন, এবছর ১২৭টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য জেলা পুলিশ সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পূজার প্রস্তুতি পর্যায়ে নিরাপত্তা প্রদানের কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য, গোবিন্দগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গা পূজা উদযাপন লক্ষ্যে ষষ্ঠী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সেনাবাহিনী, আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি স্পেশাল ৪টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।