গোয়াইনঘাট উপজেলায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত নামজারি (খতিয়ান সংশোধন ও মালিকানা হস্তান্তর) প্রক্রিয়ায় ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে

গোয়াইনঘাট উপজেলায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত নামজারি (খতিয়ান সংশোধন ও মালিকানা হস্তান্তর) প্রক্রিয়ায় ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মাসের পর মাস ঘুরেও নামজারি সম্পন্ন করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ভূমি অফিসে গেলে নানা অজুহাতে তাদের হয়রানি করা হয়। কখনো ‘ডকুমেন্টের ঘাটতি’, কখনো ‘অনুমতির অপেক্ষা’ আবার কখনো ‘উপরের আদেশ আসেনি’ — এই ধরনের কথায় দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। কেউ কেউ আবার অভিযোগ করেছেন, নির্ধারিত ফি দেওয়ার পরও অপ্রকাশ্য আর্থিক দাবি পূরণ না করলে ফাইল নড়াচড়া হয় না।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “তিন মাস ধরে আমার নামজারি আবেদনের আপডেট পাচ্ছি না। বারবার অফিসে গিয়ে শুনি, এখনো অনুমোদন হয়নি। অথচ পাশের লোকেরটা দুই সপ্তাহেই হয়ে গেছে।”

স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমি অফিসে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে এ ধরনের জটিলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কেউ কেউ বলছেন, এ যেন ‘ঘুষ না দিলে কাজ না’– এমন একটি অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “নামজারি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে যদি কোথাও অনিয়ম বা হয়রানির প্রমাণ পাওয়া যায়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভুক্তভোগী জনসাধারণ এখন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তারা আশা করছেন, একটি ডিজিটাল, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ভূমি সেবাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে, যেখানে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়ে নির্ধারিত সময়ে সেবা পাবেন।