তেমনি নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ৪৫ কেজি, এবং বুকের মাপ যথাক্রমে ২৮ ও ৩০ ইঞ্চি থাকতে হবে। সেইসাথে, প্রত্যেক প্রার্থীকে সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হবে।
কিন্তু ২০২৩ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এসব শারীরিক যোগ্যতার শর্ত থাকা সত্ত্বেও তা কতটা মানা হয়েছে—সেই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ফকিরহাটের সচেতন মহলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নিয়োগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। এমনকি উপজেলার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের একজন প্রভাবশালী নেতা, বিশেষ করে ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে প্রভাব খাটিয়ে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
সচেতন মহলের প্রশ্ন—নিয়ম না মানলে নিয়োগ কেন? আর দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরেও উপজেলা প্রশাসন নীরব কেন?
প্রশ্ন রয়ে যায়, যদি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ফকিরহাট উপজেলা প্রশাসন? বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন—এভাবেই কি দুর্নীতিবাজ প্রশাসন ও ক্ষমতাধরদের ছত্রছায়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতির জালে জড়িয়ে যাবে?
এ বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।