ঘুমন্ত মায়ের রহস্যজনক খুনের ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন পূর্বক ঘাতক নিজ ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব এহতেশামুল হক মহোদয়ের নির্দেশে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ছমিউদ্দিন এর দিক-নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সরাসরি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আখাউড়া থানাধীন দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে ঘরের ভিতরে ভোর বেলা অজ্ঞাত ভাবে এক মহিলার খুন হওয়ার ঘটনার প্রাথমিক সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই(নিরস্ত্র) মোঃ মমিন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার বসত বাড়িতে উপস্থিত হইয়া বসত ঘরের খাটের উপরে মৃতা নাছিমা বেগম(৫০), স্বামী-মিজান মোল্লা এর একাধিক আঘাতপ্রাপ্ত রক্তাক্ত মৃত দেহ পাইয়া সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। অতঃপর মৃতার স্বামী মিজান মোল্লা তার স্ত্রীর খুনের ব্যাপারে থানায় লিখিত ভাবে জানান যে, সে ইং-১৪/০২/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় তার বসত ঘরে তার স্ত্রী, ছেলে ও শিশু নাতিকে ঘুমন্ত দেখিয়া মসজিদে গিয়ে ফজর নামাজ আদায় করে এবং ফজর নামাজ শেষে হাঁটাহাঁটি করা কালে সকাল অনুনান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় তার স্ত্রীর খুন হওয়ার সংবাদ পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃত দেহ দেখে। মৃতার স্বামীর অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। উক্ত হত্যা মামলা তদন্তকালে মৃতার ছেলে সিয়াম(১৯) তার মা’কে হত্যা করে মর্মে পুলিশ তথ্য প্রমাণ উৎঘাটন পূর্বক অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘাতক আসামী সিয়াম(১৯) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী সিয়াম(১৯) প্রাথমিক ভাবে খুনের ঘটনা স্বীকার করে। আসামী সিয়াম এর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ঘরের সিলিং এর উপরে লুকানো খুনের কাজে ব্যবহৃত বটি দা এবং ঘটনার সময় আসামীর পড়নে থাকা রক্ত মাখা টি-শার্ট ঘরের টেবিলের নিচে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। তাহাছাড়া আসামীর গলায় পরিহিত একটি তাবিজ ও তাবিজের রশি সহ রক্তমাখা অবস্থায় পাইয়া আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় যে, আসামী সিয়াম তার মায়ের শাসনের প্রতি তিক্ত বিরক্ত হয়ে তার মাকে বটি দা দিয়া কুপাইয়া হত্যা করে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করণের মাধ্যমে আসামীর স্বেচ্ছাকৃত দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বিস্তারিত তদন্ত অব্যাহত আছে।