বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় গত ২৬ শে মে আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড় রেমাল। ঘুর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটের উপকুলীয় এ উপজেলাটি। গত ২৫ শে মে বিকেল থেকে একটানা চলতে থাকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করে উপকূলে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ।
ঘুর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের বেড়ীবাঁধ, বগী এলাকার বেড়িবাঁধ ও রাজৈর এলাকার বেড়িবাঁধ ছুটে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে বিপাকে পড়ে জনজীবন। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অতিরিক্ত ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় নদীর উপকুলে বসবাসরত মানুষের বাড়ীঘর ও মাছের ঘের। আবহাওয়া অনুকুলে আসলে এলাকার মানুষের খোজ খবর নিতে ছুটে আসেন বাগেরহাট -০৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন ও বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আবুল হাসনাত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দীন শান্ত, ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম কামরুজ্জামান, সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিবসহ বিভিন্ন এনজিও কর্মী ও রাজনৈতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, ঘুর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে বিশেষ করে সাউথখালী ইউনিয়ন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ইতোমধ্যেই ত্রান সহায়তা পৌছানোর কার্যক্রম চলছে। ক্ষতির হিসেব বিবেচনায় সবাইকে সরকারি সহায়তা প্রদান করার কথা বলেন।বাগেরহাট-০৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ঘুর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডব কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। এলাকার মানুষের প্রায় ঘরগুলোই বিপর্যস্ত হয়েছে। আমি ইতোমধ্যেই ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় বেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত ঠিক করার কথা বলেন তিনি।