সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতি কমে যাচ্ছে। সকাল ৯টায় এর গতির পরিমাণ ছিল ১৯৫ কিলোমিটার। এটি বেড়ে হয়েছিল ২১৫ কিলোমিটার।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস ঘটতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্ভাব্য আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আলাদা ৩৫ বেডের একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আহতদের ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫ জনের একটি মেডিকেল টিমও। রোববার (১৪ মে) সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্ভাব্য আহত বা আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে জেলা সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৩৫ বেডের আলাদা একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়ে যারা আসবে তাদের সেবা নিশ্চিতে এটি পূর্ব প্রস্তুতি। রোগীদের সেবা দিতে থাকছেন ৩৫ সদস্যের মেডিকেল টিমও। হাসপাতালে কর্মরত সকলের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। এ দিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর দুপুর ১টার দিকেই ২০তম বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতি কমে যাচ্ছে। সকাল ৯টায় এর গতির পরিমাণ ছিল ১৯৫ কিলোমিটার। এটি বেড়ে হয়েছিল ২১৫ কিলোমিটার।

তবে বেলা ১২টায় এর গতি কমে হয় ১৮০ কিলোমিটার।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। আর উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এগুলোর কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো নিচু এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।