ইন্দুরকানীতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত শনিবার সকাল থেকে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে অনুরোধ করছে প্রশাসন। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯ টি সাইক্লোন শেল্টার। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রাখা হয়েছে শুকনা খাবারের মজুদ। উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এসব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। জানা যায় উপজেলার চর সাঈদখালী এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষেরা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।

নদী তীরের মানুষরা বেশ আতঙ্কিত হয়ে হয়ে পড়েছে। অপর দিকেসব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সাঈদখালী চরের বাসিন্দারা। উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.এম মতিউর রহমান জানান, এই উপজেলায় ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে ৭২ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। কচা ও বলেশ্ব নদীর ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নাই। ঘূর্ণিঝড় ও আইলা জলোচ্ছাসের খবর পেলেই নদীতীরবর্তী মানুষদের আতংকে থাকতে হয়। গত শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে জরুরী এক সভার আয়োজন করা হয়।

এতে  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম, ইন্দুরকানী থানার ওসি এনামুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসানাইন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ও বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, দূর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নদী তীরবর্তীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  সবাইকে মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।