চট্টগ্রামের দোহাজারী পৌরসভায় অগ্নিকাণ্ডে ছোট-এবং বড় মোট ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রবিবার ভোর সাড়ে চারটা দিকে দোহাজারী পৌরসভার হাজারী বাড়ির গোলিতে এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামের দোহাজারী পৌরসভায় অগ্নিকাণ্ডে ছোট-এবং বড় মোট ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রবিবার ভোর সাড়ে চারটা দিকে দোহাজারী পৌরসভার হাজারী বাড়ির গোলিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০লাখ টাকার মতো বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিকেরা।  হাজারী শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির আগুন লাগার সেই সময় উপস্থিত সদস্যরা জানান, রবিবার ভোর সাড়ে চারটা সময় দোহাজারী হাজারী শপিং সেন্টারের পাশের হাজারি গলিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি থাকা ৬টি দোকানে নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকরা হলো অঞ্জন পালের (পাল স্টোর- মুদি দোকান), জাহাঙ্গীর আলমের (পানাহার রেস্তোরা), মো. আলী আকবরের (আলী ঝাল বিতান এন্ড কুলিং কর্ণার), মো. নাছির উদ্দীনের (তামিম কুলিং কর্ণার), নুরুল মোস্তফার (পান ও বেকারি) এবং আবদুর রশিদের (পানের দোকান)  আগুনে হাজারী শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত মো. মুছার মালিকানাধীন রূপসী বিউটি পার্লারের ৪টি এসি পুড়ে যায় এবং পার্লার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা সহ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন  আলী ঝাল বিতান এন্ড কুলিং কর্ণারের মো. আলী আকবর জানান, আগুনে তার কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোকানের ক্যাশে রক্ষিত সমিতির ৭০ হাজার টাকাও পুড়ে যায়। পাল স্টোরের কর্মচারী রূপন জানান, চোখের সামনেই পুরো মুদি দোকান পুড়ে গেলেও আগুনের তীব্রতায় কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। শুধু ওই মুদি দোকানেই ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।  চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. কামরুল হাসান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের আগেই বড়-ছোট ৬টি দোকান পুড়ে ততক্ষণে ছাই হয়ে যায়। আগুনের সুত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে বলে জানান তবে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।