চট্টগ্রামের সবজিভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দোহাজারী বাজারে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় বেচাকেনা হয় অন্তত ৫০ লাখ টাকার সবজি শীতের কুয়াশা ভেদ করে সাঙ্গু নদী বেয়ে ছুটে আসছে একের পর এক সবজিবোঝাই নৌকা। একটি-দু'টি নয়; ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শতাধিক নৌকা এসে ভিড়লো দোহাজারি রেলস্টেশন সংলগ্ন ঘাটে। এসব নৌকার কোনটিতে মূলা, কোনটিতে ফুলকপি বা বেগুন দেখা যায়।বাজারে আসা সবজির পুরোটাই উৎপাদিত হয় সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী জমি ও জেগে ওঠা চরে। চন্দনাইশের ধোপাছরি, দোহাজারি, বরমা, বইলতলী, বসরত নগর, হাজারীবাজার, বারতখানা, চাগাচর, জামিরজুরী, লালটিয়া, দিয়াকুল, রায়জোয়ারা, কিল্লাপাড়া, লালিয়ার চর, লালটিয়ার চর, পুরানগড়, শিলঘাটা। সাতকানিয়ার কালিয়াইশ, খাগড়িয়া, নলুয়া, আমিলাইষ ও চরতি বিভিন্ন এলাকায় সবজির চাষ হয়।
চট্টগ্রাম নগরীসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায়।দোহাজারি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকা থেকে সবজি বোঝাই খাঁচাগুলো পাড়ে উঠার আগেই বেপারিরা দরদাম শুরু করেছেন।কৃষক জানে আলম বলেন, ফুলকপি বাজারে বিক্রির জন্য এসেছিলেন। 'সবজি চাষ করেই আমার পরিবার চলে। এবার দুই একর জমিতে প্রায় দশহাজার ফুলকপি চাষ করেছি। এতে প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দুই তীরে অবারিত সবুজ সবজির মাঠ। রয়েছে মরিচ, আলু, ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, টমেটোসহ নানা প্রকারের সবজির আবাদ। দোহাজারি বাজারে বিক্রির জন্য আগের দিন বিকেলেই জমি থেকে সংগ্রহ করা হয় সবজিগুলো। ভোরে নদীর শীতল পানিতে ধুয়ে নৌকা আর বোটে ভাসিয়ে এসব সবজি দোহাজারি ঘাটে নেন চাষীরা।
স্থানীয় কৃষক হাজী আবদুল মালেক বলেন, 'আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকেই সাঙ্গুর চরে সবজির আবাদ করে আসছি। নদী তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে সবজির উৎপাদন বেশি। সড়ক ও নদীপথের যোগাযোগ ভাল হওয়ায় পাইকাররা জমি থেকেই এসব উৎপাদিত সবজি কিনে নিয়ে যান।