ভোলার চরফ্যাশনে কন্যা সন্তান জম্ম নেয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গত তিন বছর যাবত প্রতিনিয়ত দফায় দফায় মারধর ও হাত পা বেধে নির্যাতন চালান পাষণ্ড স্বামী মাওলানা মিজানুর রহমান। আহত গৃহবধু সালমা বেগম জানান, হানিফ বেপারীর ছেলে মাওলানা মিজানুর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ে এক বছর পরে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। কন্যা সন্তান জম্ম নেয়ার পর থেকেই স্বামী প্রায় সময় তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে স্ত্রী সালমা বেগম ভরন পোষন চেয়ে চরফ্যাশন জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর অবস্থার বেগতিক দেখে স্বামী মিজানুর রহমান স্থানীয় ভাবে সমোঝতার মাধ্যমে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে ফের বাড়িতে তুলে নেন। কিন্তু স্বামীর নির্যাতন থেমে যায়নি। একই ভাবে কেটে গেলো তিন বছর। প্রতিনিয়িতই তার ওপরে চলে স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন। গত শনিবার সকালে পাষণ্ড স্বামী তাকে বাড়িতে আটক রেখে হাত-পা বেধে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে তিনি জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
গৃহবধুর স্বামী মিজানুর রহমান বলেন , ওই নারী তাকে এবং তার পরিবারের অপর সদস্যদের জিম্মি করে রেখেছেন একাধিকবার তাকে এবং তার মাকেও মারধর করেছেন। ১৪ নং জাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম হাওলাদার বলেন উভয়ই আমাকে তাদের পরিবারিক অশান্তির বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন, আমি উভয়কেই সংবেদনশীলতা বজায় রেখে চলতে বলি। এবং সমাধানের আশ্বাস দেই । শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।