ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় গলায় ফাঁস দিয়ে দীপ্তি রানী হাওলাদার (১৯) নামের এক গৃহবধুর আত্মহত্যার পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার(৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে দক্ষিণ আইচা থানার অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর- হারিসের হিন্দু পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ নজরুল নগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রনজীৎ মিস্ত্রি'র ছেলে রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির স্ত্রী। দীপ্তি রানী হাওলাদার বরিশাল জেলার দুধল ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড সুন্দরকাটি গ্রামের সুমির হাওলাদারের মেয়ে। দক্ষিণ আইচা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নেছার উদ্দিন জানান, নজরুল নগর ইউনিয়নের চর-হারিস গ্রামের নির্মল ডাক্তার বাড়ির টিন সেটের একটি ঘড়ে দীপ্তি রানী হাওলাদার ও তার স্বামী রিপন চন্দ্র এবং শাশুড়ী তীর্থ রানী সহ তিনে মিলে বসবাস করেন। মঙ্গলবার ৪ আগষ্ট বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় স্বামী রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির বসত ঘরের বারান্দার আড়কাঠের সঙ্গে দীপ্তি রানী ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পরে শাশুড়ী তীর্থ রানী ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে নিহতের শরীরে সুরাতাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন । তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের শাশুড়ী তীর্থ রানী জানান, গত চার মাস আগে আমার ছেলে রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির সঙ্গে বরিশাল জেলার সুমির হাওলাদারের মেয়ে দীপ্তি রানীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এরপর বিবাহ হয়। তখন থেকে তাদের সাংসারিক জীবন ভালোই চলছিল। হটাৎ মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলের সঙ্গে দীপ্তি রানীর ঝগড়া হয়।
ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আমার অনুপস্থিতির সুযোগে বিকালে আমার বসতঘরের বারান্দার আড়কাঠের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমি ডাক চিৎকার করতে থাকলে আমার ঘরের পাশ্ববর্তী রেখা রানী এসে আসলে আমার পুত্র-বধূ দীপ্তি রানীর গলা থেকে ওড়না ছুটাইয়া তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহের সুরাতাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। নিহতের স্বামী রিপন চন্দ্র মিস্ত্রি ঘটনারদিন ঝগড়ার বিষয় অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। দক্ষিণ আইচা থানার (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।