দুর্নীতির কাছে মানুষ যে কতটা অসহায় সেটি আবারও প্রমাণ হলো চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের নিউজ করার পর। আমরা যারা সাংবাদিক আছি সংবাদ সংগ্রহের জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছুটতে থাকি অথচ চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাণকেন্দ্র চুয়াডাঙ্গা ডিসি কোট হতে দু পা ফেলিয়ে বিআরটিএ অফিসের মধ্যে এলাহী কান্ড।

একটা কথাই বলা যায় বাতির নিচে অন্ধকার।  স্বচক্ষে ঘুষ নেয়ার ভিডিও কি তাদের চোখে পড়ে নাই ? অথচ সেই ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলা যখন চুপ তখন চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে আলমডাঙ্গা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাংবাদিকের ক্যামেরায় বন্দি হচ্ছে ঘুষ নেয়ার চিত্র। এই সমাজ জাগবে কবে, কবেই বা সমাজের বিবেকবান মহৎ সাংবাদিক তাদের মুখের থেকেও হাতের কলম‌ের গত‌ি  বাড়ব‌ে।ভিডিও ধারণকৃত মফস্বলে সাংবাদিক হলেও এটাও জেনে রাখা উচিত, একটা সময় ইতালিতে বাংকো নামক স্থানে কোঠ‌ের বেঞ্চ পেতে লেনদেন করতে করতে আজ  ব্যাংকের উৎপত্তি। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ,  মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক,   হাজার বছরও তাদের মত মানুষ  আর আসবে না । কিন্তু এটা জেনে রাখা উচিত। এসব মহৎ ব্যক্তি গুলো সকলেই কিন্তু  গ্রাম অঞ্চল থেকে বেড়ে উঠেছে।
 
৭৫ সালে যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছে দেশ। সেই সময়ে কিছু হলুদ মিডিয়া নিশ্চুপ ছিল। হয়তো বঙ্গবন্ধুর একটাই ভুল ছিল যে বাঙালির জন্য এই বাংলার জন্য স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র উপহার দেওয়া। সে যদি সেই সুখের কথা ভাবতো তাহলে হয়তো সেইসব হানাদার বাহিনীর হাতে এভাবে নির্মমভাবে সপরিবারে জীবন দিতে হতো না। তেমনিভাবে চুয়াডাঙ্গা বি আর টি অফিস নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করে মোটা অংকের টাকা না ন‌িয়ে চুয়াডাঙ্গা বিআরটি অফিস টা কে দুর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে যখন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে মিথ্যা মামলা আর ষড়যন্ত্রমূলক চালিয়েই যাচ্ছে । সব  মিলিয়ে বিভিন্ন রকম নীল নকশা আঁকিয়ে যাচ্ছেন তারা। একটা সময় ছিল কাকের মাংস কাকে খায় না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কাক তার স্বজাতি হারিয়ে ফেলেছে ।
এখন শুধু কবি ফররুখ আহাম্মেদ পাঞ্জেরী কবিতার  একটি কথাই বলতে হয়, রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?

                                                             দীঘল রাতের শ্রান্তসফর শেষে 
                                                             কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিকই বলেছিলেন,
                                                            রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ কর নি তাই।
আর এই মানুষ করবেই বা কে যে মানুষটা স্বাধীন দেশ উপহার দেয়ার জন্য জীবন দিতে হলো,  সেই দেশে সত্যের প্রতিবাদ করলে এভাবে আঘাত আসবেই ।এই আঘাতগুলো প্রতিবাদ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাইতে হবে । তা না হল‌ে এমন একটা দিন আসবে যেদিন মিথ্যা কে সত্য বলে সকলেই মেনে নেবে। যে দেশে গুণীদের কোন সম্মান নেই সে দেশে গুণী ব্যক্তি জন্মায় না । ঠিক যে দেশে সত্য বলে মার খেতে হয় সে দেশে সত্য বলা সাহস মানুষ হারিয়ে ফেলবে একদিন। পেসেন কাল থেকে একটি যন্ত্র কোনরকম তেল ছাড়া চলে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে ষড়যন্ত্র আর এই ষড়যন্ত্র থাকবেই । এই যন্ত্রটাকে অতিক্রম করেই সামনের দিক এগিয়ে যাইতে হবে । সত্যের সন্ধানে দেশের জন্য কোনরকম ছাড় দিতে রাজি নয়।  এটাই হোক সাংবাদিকদের লক্ষ্য।