ফিল্মি স্টাইলে আপন ভাবি ও তার পরকীয়া প্রেমিকসহ দেবরকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

ফিল্মি স্টাইলে আপন ভাবি ও তার পরকীয়া প্রেমিকসহ দেবরকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ভয় ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ইমাম হাছান লঞ্চের কেবিনে ঢুকিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করার সময় ডাক চিৎকারে অবশেষে নৌ পুলিশ দেবর বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় অপহরণের সাথে জড়িত আপন ভাবি আফরোজা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোঃ নূরে আলমকে আটক করা হয়। নৌ পুলিশ আটক দুইজন অপহরণকারী ও দেবর বিল্লালকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনায় বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে রায়পুর থানায় তিনজনকে আসামি করে অপহরণের মামলা দায়ের করে। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শফিকুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে তার ভাই প্রবাসী কামরুল ইসলাম বাবুর সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছিল। সেই সূত্র ধরে প্রবাসী ভাইয়ের ইন্দনে ভাবি আফরোজা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মুহুরি নুরে আলম বিল্লাল হোসেনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। বিল্লাল বাড়ি থেকে বের হয়ে হায়দারগঞ্জ বাজারে আসার পর তার ভাবি ও পরকীয়া প্রেমিক সহ চারজন জোরপূর্বক তাকে ধরে হাইস গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে জায়গা লিখে নেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে তারা তাকে গাড়িতে নিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এনে ইমাম হাসান লঞ্চের কেবিনে ঢুকিয়ে আটকে রেখে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় বিল্লাল ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে অপহরণকারী ভাবি ও তার প্রেমিককে ধরে নৌ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে অপর অপহরণকারী চারজন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি রায়পুর থানায় হওয়ার কারণে বাদী সেখানে মামলা দায়ের করলে অবশেষে পুলিশ চাঁদপুর মডেল থানা থেকে আটক হওয়া দুই অপহরণকারীকে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় অপহরণ হওয়া বিল্লাল হোসেন জানায়, সম্পত্তির জন্য তারা বাজার থেকে তুলে নিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে লঞ্চে উঠিয়ে কেবিনের ভেতর মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এই ঘটনায় আপন ভাবি ও তার পরকীয়া প্রেমিক সহ যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।