পটুয়াখালীর দুমকীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স। গতকাল ১৬ জানুয়ারী সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ.লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগম কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যা চাঁদাদাবি মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স অভিযোগ করেন, ফেসবুকের একটি ¯ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগমের ছেলে আবু নাসের মো: সফিউল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭/৮ জন ক্যাডার গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্তরে হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা ছাত্রলীগের আরও একাধিক সহকর্মীকেও মারধর করে।

খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় আহত রাব্বিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অভিযুক্ত আবু নাসের মো: সফিউল্লাহ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

দুমকি থানার মামলা নং-০১, তাং ৩০/১২/২২। এ মামলার দায় এড়াতে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই মামলার প্রধান আসামী আবু নাসের মো: সফিউল্লার মা নাসিমা বেগম গত ১৫ জানুয়ারি আমাকেসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যে চাঁদা দাবির সাজানো মামলা করেছেন। যার আদৌ কোন সত্যতা নেই। এমন অসত্য, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দিয়ে আ.লীগ ও ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার সত্যতার বিষয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ প্রমানাদি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে  উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য শীর্ষনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।