জামালপুরের বকশীগঞ্জে ২ লাখ চাঁদা না দেওয়ায় কারণে সেলিম মিয়া (৪০) নামে এক চা বিক্রেতাকে নাশকতা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বিএনপি নেতা আবুল কাসেম উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। বুধবার বিকালে বিলেরপাড় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগমও তাঁর পরিবার। সেলিম মিয়া একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে খোদেজা বেগম বলেন,সাধুরপাড়ার গাজীরপাড়া বাজারে তাদের চায়ের দোকান রয়েছে। চা দোকান করে সংসার চালান তারা। প্রতিবেশী আসাদুল্লাহ গংদের সাথে বসতভিটার আড়াই জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। গত ২ সপ্তাহ আগে সেলিম মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম। টাকা না দিলে মামলায় আসামী হবে সেলিম । আবুল কাসেম এর কথামত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সেলিম মিয়া। এ কারনে গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সেলিম মিয়াকে ধনিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দে কাসেম। পরেরদিন অজ্ঞাতানামা আসামী হিসেবে সেলিম মিয়াকে আদালতে পাঠায় পুলিশ । তার দাবি সেলিম মিয়া কোন রাজনীতি করে না। চায়ের দোকান করে সংসার চালায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন,সেলিম মিয়া ও তার পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সে। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই সেলিম মিয়ার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।