জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা । মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে কর্মবিরতিতে যান তারা এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সেবা নিতে আসা রোগীরা । চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই । জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌর একালার বাসু মিয়ার ছেলে রজব আলী(৩৮) গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। রাত সাড়ে ৭ ঘটিকার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রজব আলী মারা য়ায়। রজব আলীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা দাবি করেন ডাক্তারের অপ-চিকিৎসার কারণে রজব আলীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রজব আলীর স্বজনদের সাথে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসমা লাবনীর বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মৃত রজব আলীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ডাক্তার আসমা লাবনীর উপর হামলা করে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে আরএমও ডা. আসমা লাবনী জানান, রোগীর অবস্থা আগে থেকে খারাপ থাকায় তাকে রেফার্ড করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আর্থিক সংকটের কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে রোগীর চিকিৎসায় কোন অবহেলা হয় নি। হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসক কর্মচারীরা কর্মস্থলে নিরাপত্তা না পেলে তারা কিভাবে কাজ করবেন। তাই দ্রুত জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, একজন নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় আমরা বসে থাকতে পারি না। এর সঠিক বিচার না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব। বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।