দীর্ঘ তিন মাস ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আতাউল হক (রাইট) প্রায় পঙ্গু জীবন-যাপন করছেন। হাটাচলায় চিকিৎসকের নিষেধের পরও শুধুমাত্র নাগরিক দায়িত্ববোধের কথা মাথায় নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আতাউল হক রাইট।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ছালেহীয়া মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ভোট প্রদান করেন তিনি।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ঠাকুরগাঁও শাখার জুনিয়র এক্সুইটিভ অফিসার আতাউল হক রাইট চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। দুর্ঘটনায় তার পায়ের ডান পায়ের হিপ জয়েনে ফ্রাকচার হয়। প্যাটেলা (হাঁটুর বল) ভেঙ্গে যায়। টিবিয়া (হাঁটুর নিচের হাড়) ভেঙ্গে যায় এবং পায়ের গোড়ালির হাড় ডিসপ্লেস হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ও সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তাকে কিছুদিন পূর্বে চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে তিনি গ্রামের বাড়ি রুহিয়ায় ফিরে আসেন এবং বর্তমানে বাড়িতে বেড রেষ্ট এ আছেন।বর্তমানে তিনি পঙ্গুত্ব জীবন বহন করছেন।
এদিকে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে তিনি মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে এম্বুলেন্সে করে রুহিয়া ছালেহীয়া মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে সশরীরে হাজির হন। তার ভোটকেন্দ্রটি দোতলায় হওয়ায় তিনি উপরে উঠতে ভয় পেলে প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট বুথের সহ:প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের ডেকে নীচে নিয়ে আসেন এবং আহত রাইটকে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হলে তিনি তিনি তার ভোট প্রদান করেন।পরে সিল মারা ব্যালট পেপারসমূহ তিনি তার স্ত্রীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বুথের বাক্সে ফেলেন।
পরে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ভোট আমার পবিত্র আমানত এটি প্রয়োগ করা নাগরিক দায়িত্ব বটে।আমি আমার দায়িত্ববোধ থেকে সশরীরে কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট প্রদান করতে পেরেছি। আমি ভোট দিতে পেরে খুবই আনন্দিত।