১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রামু পাবলিক লাইব্রেরি উপজেলায় প্রশাসনের অবহেলা ও গাফেলতির ফলে দীর্ঘদিন পরিত্যক্তভাবে পরে থাকা রামু পাবলিক লাইব্রেরির সবকটি বই চুরি হয়ে গেছে, এছাড়াও লাইব্রেরির অনেক গুরুতপূর্ণ জিনিসপত্র, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। জানা গেছে গত ৬ জুলাই বৃহষ্পতিবার দুপুরে রামু পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শনে যান ঢাকার এক প্রকাশক ও গবেষক, সেখানে তিনি দেখতে পান পুর্বদিকে একটি ভাঙ্গা জানালা, পুরো লাইব্রেরি ফাঁকা, কোথাও একটি বই নেই।
পরবর্তিতে বিষয়টি মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু থানা ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই লাইব্রেরি একসময় রামুবাসীর জ্ঞান আহরণের অন্যতম উৎস ছিলো। এ ঘটনায় নাগরিক সুজন রামু উপজেলা সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম রামু পাবলিক লাইব্রেরির সবকটি বই চুরির এ ঘটনার দায় প্রশাসন কিছুতেই এড়াতে পারেনা বলে জানান।এটা চুরি নাকি অন্য কোন ঘটনা তা প্রশাসনকে অবিলম্বে উদঘাটন করে রামুবাসীকে জবাব দিতে হবে বলে জানান।
রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমথ বড়ুয়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রামু পাবলিক লাইব্রেরি চালুর জন্য জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন, তিনি জানান- এটাই সম্ভবত দেশের প্রথম বড় ধরনের বই চুরির ঘটনা। উপজেলা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এ ধরনের চুরির ঘটনা রহস্যজনক।
প্রশাসন যেন এর রহস্য উদঘাটন করে। মঞ্জুর হাছান ভুইঁয়া রামু পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, এতগুলো বই কে বা কারা চুরি করেছে ,কখন করেছে, সঠিক বলা যাচ্ছে না। বই চুরির ঘটনা অনেকদিন আগে হতে পারে। প্রশাসন বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) নিরুপম মজুমদার চুরির খবর পেয়ে লাইব্রেরি দেখতে যান। তিনি জানান- চুরির ঘটনায় কারা জড়িত তাৎক্ষনিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের একটি টিম চুরির ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে।