গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে আজ সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে একটি লাল রংয়ের দেশি বাছুর গরু সহ তিন চোরকে আটক করে এলাকাবাসী

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে আজ সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে একটি লাল রংয়ের দেশি বাছুর গরু সহ তিন চোরকে আটক করে এলাকাবাসী। 
উপস্থিত একাধিক ব্যাক্তি জানান আজ সকালে সবুজ মিয়ার নানা বাড়িতে তারা গরুর দালাল মন্টু মিয়াকে দেখতে পান।এলাকাবাসী নিশ্চিত ঐ বাড়িতে কেউ গরু লালন পালন করে না।পরে দালালকে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তারা মোটামুটি নিশ্চিত হন যে ঐ বাড়িতে চোরাই গরু আছে। পরে এলাকাবাসী এসে গরু সহ সাতগিরী মৌজার লিটন মিয়ার ছেলে সবুজকে আটক করে।পরে সবুজের স্বীকার উক্তি নিয়ে পার্শ্ববর্তী জলির একটি ঝোপে লুকিয়ে থাকা দক্ষিণ হাতীবান্ধা মৌজার ফয়জার রহমানের ছেলে বিপুল মিয়া (২০) কে এবং বলদী পাড়া মৌজার মৃত আবেদ আলীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম কে আটক করা হয়।আটককৃত প্রত্যেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলার। পরে স্থানীয়দের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে সবুজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।গতকাল সে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং চুরির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে এলাকাবাসী জানান।সকালে ঘুম থেকে চোর সন্দেহে প্রথমে তাকে ডেকে আনা হয়।
খবর পেয়ে গরুর মালিক পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মৃত বাচ্চা মামুন এর ছেলে সামছুল ইসলামের পক্ষে তার ছেলে রেজাউল করিম উপস্থিত হন।তিনি জানান গত রাতে তার এবং তার চাচার  ঘর থেকে চারটি গরু হারিয়ে যায়।সকালে অনেক খোঁজা খুঁজির পর পাশের ধান ক্ষেত থেকে তিনটি গরু ছেরে দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ৮ টার একটু পর তার নিকট একটা ফোন আসে। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন যে তার হারিয়ে যাওয়া গরুটি সহ লোকজনকে আটক করে রেখেছেন।

বামনডাঙ্গা পুলিশ ফারির ইনচার্জ গরুসহ তিনজন আটক হয়েছে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।পরে ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ জব্বার মিয়া জানান সমাজে সামাজিক অস্থিরতা ও নৈরাজ্য বন্ধ করতে হলে জুয়া,মদ ও চুরি বন্ধ করতে হবে। পরে তিনি উদ্ধার হওয়া গরু ও চোরদ্বয়কে পীরগাছা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।