ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী-১ সংসদীয় আসনে দলের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন দেশে আওয়ামী লীগের পুরোনো সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির আর কোনো সূযোগ দেয়া হবে না।
এখানে কোন নৈরাজ্য চলবে না। কেউ নৈরাজ্যের পক্ষ নিলে বুঝতে হবে ওরা আওয়ামী লীগের দোসর। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা পেলে সাংগঠনিক নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা এটি।সোমবার ১৯ আগস্ট বিকেলে ফেনীর ছাগলনাইয়া জিরো পয়েন্টে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মজনু আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দমন পীড়নে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিগত ১৫ বছর নিজ বাড়িতে থাকতে পারেনি। হামলা -মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোনো প্রকার ক্ষতি সাধন করা হয় নি। আমরা শান্তি-সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই।এক সমূদ্র রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন হলেো বিজয় নস্যাত করতে দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। সকলকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার পতনে জনগণের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হলেও চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে আরও কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ নুর আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলমগীর বিএ’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জালাল আহমেদ মজুমদার, আবু তালেব, ফেনী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর এম এ খালেক, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসীম, সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন খন্দকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাইদুর রহমান জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, পৌর বিএনপির আহবায়ক ইউনুস মজুমদার প্রমূখ।