এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্যসহ জনজীবনের সার্বিক ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ছাগলনাইয়ার ৬৬ হাজার ৭১৬টি সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহকের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সারাদিন কর্মক্ষেত্রে ও রাতে ঘুমানোর সময় বাসায় বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলাবাসী। বিদ্যুৎ সংকট জাতীয় সমস্যা দাবি করে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষনা করলেও ছাগলনাইয়া অধিকতর বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়ায় জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অন্য উপজেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার লোক থাকলেও ছাগলনাইয়াবাসীর দুর্ভোগ নিয়ে কথা বলার কেউ নেই। ছাগলনাইয়া অসহনীয় বিদ্যুৎ সংকট বর্তমান সরকারের হাজারো উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নের মুখে পতিত করছে বলেও মতামত ব্যক্ত করেছেন সাধারন নাগরিকরা। প্রতি ৩/৪ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের পর অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুতের দেখা মিললেও বিদ্যুত পাওয়ার আশায় ফের কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সম্প্রতি সময়ে ছাগলনাইয়াবাসীর নিকট বিদ্যুৎ যেন আলাদীনের বাতি। প্রতিদিন বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ের ফলে ছাগলনাইয়ার উপজেলাবাসী কর্মক্ষেত্রে যেমন অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি বিদ্যুৎ সংকটে টানা নির্ঘুম রাত্রি যাপনে শিশু থেকে বয়স্করা নানাবিধ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্রুত এ সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন না করলে জনজীবনে নানামুখী হাহাকার নেমে আসবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে । স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ সংকটে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে হতাশা নেমে আসার পাশাপাশি পুর্বের তুলনায় বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকাংশে কম হওয়া সত্তেও মাস শেষে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগের স্বেচ্ছাচারিতার খেসারত দিতে হচ্ছে জনগনকে। পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মগুলো যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সর্বোচ্চ ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও আমরা পাচ্ছি মাত্র ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। ফলে প্রতি তিন ঘন্টা লোডশেডিংয়ের পর এক ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে গৃহিত হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ সংকট জাতীয় সমস্যা উল্লেখ করে এ বিষয়ের ফেনী-১ আসনের সাংসদ শিরীন আখতার জানান, এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি জানান।