জাতীয় নাগরিক কমিটির সদরপুর উপজেলা শাখার ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামানের উপর ভয়াবহ হামলার অভিযোগ উঠেছে

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদরপুর উপজেলা শাখার ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামানের উপর ভয়াবহ হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে একটি গ্রাম্য সালিশ চলাকালীন অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তাকে টার্গেট করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়ি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল একটি পক্ষ। এই সালিশে উপস্থিত ছিলেন সমাজের গণ্যমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, তাদেরকে উপেক্ষা করেই হামলা করেন আজগর আলী বিশ্বাস লিটু, আশিকুর রহমান বিশ্বাস সিটু, আফরিনা বিশ্বাস মিতু, আফরোজা আক্তার শাওন, আরিফা আক্তার - সর্ব পিতা মৃত আব্দুল বাসার বিশ্বাস । আনোয়ারা বেগম দুলী সহ বেশ কয়েকজন। রমজানের আগেই এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও, কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই গিয়েছিল।
আজ গ্রামে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা ছিল। কিন্তু সালিশ চলাকালীন আচমকা হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের হাতে গোপনে থাকা দেশীয় অস্ত্র-দাঁ, হাতুড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করে বর্বর আঘাত চালানো হয়।
ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামান প্রবাসীর বাড়ির একজন দীর্ঘদিনের ভাড়াটিয়া । হামলার সময় তিনি মালিক পক্ষকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আজগর আলী বিশ্বাস ওরফে লিটু তার মাথায় ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। এতে মাথার ভিতরে রক্তক্ষরণ এবং হাত ক্ষতবিক্ষত হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসানুজ্জামানের আঘাত গুরুতর এবং তার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পূর্বে থানায় জিডি করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে হামলাকারীরা আরও সাহস পেয়ে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।