গাজীপুরের টঙ্গীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে মানববন্ধনের আয়োজন এবং ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৪ঠা জুলাই) সকাল ১১ঘঠিকায় ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বজলুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি মানববন্ধনে অংশ নেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কয়েকজন আলোচিত নেতা। বিষয়টি ঘিরে গাজীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি চলছে।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণ অভিযোগ করে বলেন,
“ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনে সক্রিয়। তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বারবার হয়রানির শিকার হয়েছেন। একটি কুচক্রী মহল তাকে হেয় করতে মিথ্যা মামলা করেছে এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যবহার করে মানববন্ধনের নামে নাটক সাজিয়েছে।”
ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম খান বলেন,
“আমার বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করছে। তারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত। আমি এসবের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে মানববন্ধনের আয়োজক বজলুর রহমান বলেন,
“আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমি মানববন্ধনের আয়োজন করি। সেখানে কোনো ছাত্রলীগ নেতা ছিল না—এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিরাজুল ইসলাম খান গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি পিতার অসুস্থতার কারণে তিনি পারিবারিক কনস্ট্রাকশন ব্যবসার দায়িত্ব নেন। এ ব্যবসায়িক সম্পর্ক থেকেই বজলুর রহমানের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। কাজ না দেওয়ার জেরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, যা একপর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়।
এই ঘটনার জের ধরেই বজলুর রহমান গত ৩০ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় মিরাজুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন,
“মানববন্ধনের বিষয়টি আমরা পরে জানতে পারি। সেখানে নিষিদ্ধ কোনো ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন কি না, তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।”