বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় কাউনিয়া জলমহলের আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন গুরত্বর আহত হয়েছেন।আহত ব্যক্তি হলেন চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের আঃ মান্নান আকনের ছেলে মোমেন আকন (৩৬)।আহত যুবক চাওড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক (বহিস্কৃত)তিনি ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলে গুরতর আহত হন।
আহত মোমেন আকনের ছোট ভাই মিরাজ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।হামলায় আহত মোমেন আকন (৩৬) অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল নেওয়া হয়েছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে গুরতর অবস্থায় আনা হয়েছে। আহত ব্যক্তির মাঝার বাম পাশে,ডান হাতে তিনটা,বাম চোখে, বাম হাতে দুইটিসহ ডান পায়ে ও বাম পায়ে অসংখ্য কোপের আঘাত পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউনিয়া গ্রামে জলমহলের আধিপত্য বিস্তার করে আসছে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ-সংঘাত চলছে। এর একপক্ষে নেতৃত্ব দেন মাহবুব। এলাকাবাসীর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন মোমেন আকন।মাহবুব আমতলী উপজেলা ছাএলীগের সাবেক সভাপতি এবং মোমেন আকন চাওড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত)।দীর্ঘদিন যাবত কাউনিয়া গ্রামের চন্দ্রা জলমহলের খালটি সাবেক ছাএলীগ নেতা মাহবুব অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ করে আসতেছে।এমনকি স্থানীয়দের ঐ খালের পানি ব্যবহার করতে দেয়না।এ নিয়ে এলাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মাহবুব উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাদল খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।খাল দখলের ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজনকে দায়ী করেন মোমেন আকন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কয়েক দিন ধরে স্থানীয় লোকজন উত্তেজনা প্রশমনে বৈঠক করছিলেন। আজ সকালেও দুই পক্ষের সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। এ পরিস্থিতিতে মাহবুব, সফেজ প্যাদাএবং তার পক্ষের লোকজন মোমেন আকনের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে মোমেন আকন গুরুতর আহত হন। আহত মোমেন আকনের ছোট ভাই ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মোঃ মিরাজ আকন দৈনিক ঢাকা পোস্ট কে বলেন , দীর্ঘদিন ধরে মাহবুব পক্ষের সঙ্গে চন্দ্রা জলমহল নিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য বিরোধ আছে। এ বিষয়ে মিমাংসার জন্য মোমেন আকন ঘটনাস্থলে যান।আজ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। মাহবুব এবং তার পক্ষের লোকজন আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় হামলার অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইলিয়াস খান বলেন,আগামী চব্বিশঘন্টার মধ্যে মোমেনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির ফকির বলেন,খুব দুঃখজনক ঘটনা।তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবী করছি।এই বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।