সিলেটের পিডিবি প্রজেষ্ট অফিসের অধীনে ছাতকে মেরামতে নামে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে চাদাবাজি করতে গিয়ে শীর্ষ দুই চাদাবাজকে নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
গত সোমবার বিকালে ছাতক সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শোয়েব বিন আহমেদ এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম উপজেলার জাউয়া বাজার এলাকায় দেওকাপন গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাসুম চৌধুরীও ফজলুর রহমান ওরফে ফাহাদকে গ্রেপ্তার করেছে।গ্রেপ্তারকৃত হলেন মাসুম চৌধুরী (৪৭), টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাউখালী প্রকাশ কাউলজানী গ্রামে মৃত সাহাদাত আলী চৌধুরী পুত্র ও ফজলুর রহমান ফাহাদ (৩২)টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার গুহকোনা বাড়ি গ্রামের বাদশাহ মিয়ার পুত্র। তারা দু'জনই জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কৈতক গ্রামের সেলিম সিদ্দিকীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া। গত মঙ্গলবার সকালে আসামীদেরকে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির দেওকাপন গ্রামে মৃত আব্দুস ছত্তারের পুত্র সাইদুল হক বাদী হয়ে
ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের মালিক হাজী শহীদ তালুকদারকে প্রধান ও তার শ্যালক মাসুম ও ফজলুর রহমান,কামাল তালুকদার,স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফ,উপজেলা যুবলীগের নেতা চাদ মিয়া ও দোয়ারাবাজার উপজেলার আওয়ামীলীগের দোসর সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের আশিবার্দপুষ্ট বাংলাবাজার ইউপির পুরান বাশঁতলা গ্রামের আইন উদ্দিনের পুত্র আজিজ রহমানসহ ৭জনের নামে প্রতারনা ও চাদাবাজি মামলা থানায় রুজু করেন।
জানা যায় ছাতক সিলেট প্রজেষ্ট অফিসে আওতাধীন টাকা ছাড়া পুরাতন বিদুৎ লাইন খাম্বা মেরামতে নামে সিলেটের প্রজেষ্ট অফিসের নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক ঠিকাদার শহীদ তালুকদার
কামাল মাসুম ফাহাদ স্থানীয় উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদ কৈতক গ্রামে
আশরাফ ও যুবলীগের নেতা চাঁদ মিয়ার নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদুৎ মেরামত খুটিঁ ট্রান্সফরমার স্থাপন,নতুন লাইন স্থাপন দেবে বলে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে নানা কৌশলে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতারনামূলকভাবে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে
নিয়েছে। এক বছরের বিদুৎ সংস্কারের কাজ ৫বছরের শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্টা।
গত সোমবার দুপুরে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির দেওকাপন গ্রামের ইশাদ আলীর ঘরে বিদ্যুত সংযোগ দেবে বলে ১৭হাজার টাকার চাদার দাবি করায় সেনাবাহিনী তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।
এব্যাপারে ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন চাদাবাজি করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে দুজন গ্রেপ্তার হন। বিদুৎ গ্রাহক মেরামতে নামে ৫বছর ধরে একটি চাদাবাজ চত্রু প্রতারনা করে আসছে ছাতকে। এ চত্রেুর বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে আসামীদের সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।