ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং বিশ্ব মানবতাকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ “মার্চ ফর প্যালেস্টাইন” কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত এই পদযাত্রা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে নয়াবাজার পর্যন্ত অগ্রসর হয়। পরে সরকারি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে এবং চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পদযাত্রাটি সীমিত পরিসরে সম্পন্ন করা হয়।
এ সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন—‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ কর বন্ধ কর’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর-ইসরাইল নো মোর’ সহ আরও অনেক প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত হয় পদযাত্রা। তারা ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি করেন।
পরে শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এবং সৌদি আরব দূতাবাসে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রণীত স্মারকলিপি প্রদান করে।
পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন। সমাবেশে বক্তারা গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান এবং নিরীহ নারী-শিশু ও বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন:
১. ইসরাইলি পণ্য আমৃত্যু বর্জনের আহ্বান,
২. ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া অব্যাহত রাখা,
৩. স্মারকলিপির পরবর্তী ফলাফল দৃশ্যমান না হলে জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস ঘেরাও করা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও কর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাপ্তিতে গাজায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।