নীলফামারীর জলঢাকায় পোস্ট অফিসের কাজ দেখিয়ে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে সাব-ঠিকাদার শিপন আলী (৩৪) এর বিরুদ্ধে।উপজেলা পোস্ট অফিসের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরাতন বিল্ডিং বাউন্ডারি ও গাছ বিক্রির কথা বলে প্রতারনামূলক ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পৌর শহরের বগুলাগাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪২)। সে গত ১২ জুলাই শিপন আলীর নাম উল্লেখ করে জলঢাকা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাব-ঠিকাদার শিপন আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ রামচন্দ্রপুর রাণীহাট এলাকার আনোয়ারুল হকের ছেলে। সে মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধিনন্ত জরাজীর্ণ ডাকঘর সমূহের সংস্কার ও মেরামত ২য় পর্যায়ে (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় জলঢাকা উপজেলা পোস্ট অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরাতন বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ। কাজের প্যাকেজ নম্বর ৮৪।
যাহার আইডি নং-৫৫১৩০৭। কাজটি সম্পন্ন করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ সাব-ঠিকাদার হিসেবে শিপন আলীকে নিয়োগ দেন। এরপর থেকে শিপন আলী সাব-ঠিকাদার হিসেবে জলঢাকা উপজেলা ডাকঘর সংস্কার ও পুরাতন বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করেন এবং সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজের সবকিছু দেখভাল করেন। এই সুযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিল্ডিং,বাউন্ডারী ও গাছ বিক্রির কথা বলে পৌর শহরের বগুলাগাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে পুরাতন ভবনের সরঞ্জাম বিক্রি বাবদ ৭ লাখ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পুরাতন ভবনের সরঞ্জাম সাইদুল ইসলামকে বুঝিয়ে না দিয়ে গোপনে অন্য লোকের কাছে পুরাতন ভবনের সরঞ্জাম বিক্রি করে দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ব্যবসায়ী সাইদুল স্বাক্ষীদেরকে বিষয়টি অবগত করেন। এরপর থেকে সাব-ঠিকাদার শিপন আলী 'গা ঢাকা' দেয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি সাব-ঠিকাদার শিপন টাকাগুলো আত্নসাৎ করার উদ্দেশ্যে সাইদুলের ফোন কল ধরা বন্ধ করে দেয় এবং জলঢাকা পোস্ট অফিসের কাজে আসাও বন্ধ করে দেয়। পরে অতিগোপনে সাব-ঠিকাদার শিপন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে জলঢাকা উপজেলা পোস্ট অফিসে কাজ দেখার জন্য আসে।
সংবাদ পেয়ে ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম সহ তার লোকজন দেখা পেয়ে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে হয়রাণীসহ খুন জখম করার হুমকি প্রদর্শন করেন সাব-ঠিকাদার শিপন আলী। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাইদুল ইসলাম বলেন,সাব-ঠিকাদার শিপন পুরাতন ভবন,বিল্ডিং ও গাছ বিক্রির কথা বলে প্রতারনামুলক আমার কাছে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৮ লাখ নিয়েছে। টাকা লেনদেন বিষয়টি পোস্ট মাস্টারকে জানানো হয়েছিল। টাকা লেনদেনের অনেক ডুকোমেন্ট আমার কাছে আছে। এখন সে অস্বীকার কতেছেন। তাই,আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।অভিযোগ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি সাব-ঠিকাদার শিপন আলীর বক্তাব্যের জন্য তার মুঠোফোন ০১৭৭৫৩৫৭৩৯১ এই নাম্বারে কল দিলে সংবাদকর্মীর নাম্বার বুঝতে পেরে কলটি বার বার কেটে দেয়। অভিযোগ বিষয়ে জলঢাকা থানার এস আই নিত্য নন্দন রায় বলেন ,এ রকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডেকেছি আসলে সমাধানের চেষ্টা করব।