জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (JSS) কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা। এতে প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া আক্তার সভাপতি ও মোঃ আলমগীর গনিকে মহাসচিব করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ (৩১ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ) বৃহস্পতিবার
সাংবাদিক সমাজের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (JSS)।
সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
মরহুম আলতাফ হোসেনের স্বপ্ন, শ্রম ও আত্মত্যাগে গড়ে ওঠা এ সংগঠনটি আজ দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের ঐক্য ও ন্যায়বিচারের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠনে অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা ভঙ ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠাতার আদর্শের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এই সংকটময় প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৫টায় ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলতাফ হোসেনের সহধর্মিণী মোছা: আছিয়া আক্তার। একইসাথে গণমাধ্যম অঙ্গনের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মী আলমগীর গনি মিয়াকে মহাসচিব মনোনীত করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় মোছা: আছিয়া আক্তার বলেন,
“এই সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল আমার স্বামী মরহুম আলতাফ হোসেনের শ্রম, স্বপ্ন ও আদর্শিক শক্তিতে। আজ যখন সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও শৃঙ্খলা হুমকির মুখে, চলমান পরিস্থিতিতে আমাকে বাধ্য হয়েই সংগঠনের হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমার এই সিদ্ধান্ত কারো বিরুদ্ধে নয়—এটি সংগঠনকে টিকিয়ে রাখার জন্য।”
তিনি আরও বলেন,
“একটি সংগঠনের প্রাণশক্তি হলো তার সদস্যদের আদর্শিক ঐক্য ও ন্যায়নিষ্ঠ নেতৃত্ব। আমি সকল সদস্য, শুভানুধ্যায়ী এবং প্রবীণ নেতৃবৃন্দের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে আমরা মরহুম আলতাফ হোসেনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে পারি।”
নতুন কমিটির মূল লক্ষ্য সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা, সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ, কল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম চালু, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নৈতিকতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কার্যকর সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা।
সাংবাদিক মহলে এই নতুন কমিটি গঠন এবং প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততাকে একটি সময়োপযোগী ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।