কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার পর সব স্তুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের এক জরুরী সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের ঘোষণা আসলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
তার কিছুক্ষণ পরেই বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে শতাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আসে। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেয়।সাভার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, আমরা নিজেরা এখানে আসিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে আমরা এখানে এসেছি। আপনারা প্রশাসনের সাথে কথা বলেন, তারা বললে আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবো।
এর আগে সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান শিক্ষার্থীদেরকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পড়ে শোনানোর সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার উপর হামলা চালায় ও রেজিস্ট্রার অফিসের নিচতলায় ভাংচুর চালায়।সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তগুলো হলো, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুলাই এ কোটা আন্দোলনের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে আজ (১৭ জুলাই) বিকাল ৪টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো। ভাংচুরের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগের কিছু কর্মী ভাংচুর করে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুহূর্তেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।সর্বশেষ তথ্য মতে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দুই দিক থেকে ঘিরে রেখেছে।