জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে (৫৩ তম ব্যাচ) ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন মানববন্ধনের বক্তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে (৫৩ তম ব্যাচ) ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন মানববন্ধনের বক্তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইমন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাবদ এই ৬ হাজার টাকা তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে । প্রশাসনের এমন অবিবেচক সিদ্ধান্ত মোটেও শিক্ষার্থীবান্ধব নয়।’

কর্তৃপক্ষের এরকম সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে উন্নয়ন ফি কিংবা কল্যাণ ছাড়া ঠিকই তো বিশ্ববিদ্যালয় চলেছে এখন হঠাৎ কেনো নতুন করে এই ফি চালু করতে হলো কেন? ভর্তি পরীক্ষা হতে উপার্জনকৃত অর্থ থেকে যেখানে বিভাগগুলোর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব সেখানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উপর এই অর্থের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়। বিভাগ উন্নয়নের নাম করে ‘অবৈধ’ উইকেন্ড আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনর্থক মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে অথচ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে তারা শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের মেধাবী ও স্বল্প আয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান। ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ নামে এই অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকা ভর্তিচ্ছুদের থেকে আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকেই অর্থহীন করে তুলেছে। যদি বিভাগ উন্নয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন হয়ই সেক্ষেত্রে চলমান উইকেন্ড কোর্সগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে এবং তাও যথেষ্ট না হলে ইউজিসি গ্রান্ট বা সরকারী সহায়তার দ্বারস্থ হতে পারে। কিন্তু কোনোক্রমেই এই অর্থনৈতিক দায় শিক্ষার্থীদের ওপরে চাপানো যাবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।