জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জামালপুরের জেলা প্রশাসকের উপস্থিত হতে বিলম্ব হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন চেক নিতে আসা আহতরা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জামালপুরের জেলা প্রশাসকের উপস্থিত হতে বিলম্ব হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন চেক নিতে আসা আহতরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।  বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের চেক প্রদান করার কথা থাকলেও তিনি আহতদের বসিয়ে রেখে শহরের সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করতে যান। এদিকে, আহত জুলাই যোদ্ধারা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে একপর্যায়ে সম্মেল কক্ষ থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় নানা ধরনের স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। জেলা প্রশাসক হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে তাদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবী করেন তারা।চেক নিতে আসা আহত জহিরুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, মোয়াজসহ আরও কয়েকজন বলেন, তিন দিন আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফোন করে চেক নিতে আসার জন্য বলা হয়। আমরা সকাল ১১টার মধ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হলেও জেলা প্রশাসক ছিলেন না। জেলা প্রশাসক মেলা প্রদর্শণীতে গিয়ে দেরী করেছেন। তার কোন প্রতিনিধিও আমাদের সাথে দেখা করতে আসেন নি। আমরা দুর-দুরান্তের বিভিন্ন জায়গা থেকে যথাসময়ে এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে সম্মেলন কক্ষে বসিয়ে রাখে। আমরা অনেকেই অসুস্থ, দীর্ঘসময় বসে থেকে অধৈর্য্য হয়ে আমরা বাইরে এসে বিক্ষোভ করি।  চেক বিতরণের নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পর দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরে আহতের দুজন প্রতিনিধির সাথে কথা বলে জেলা প্রশাসক বিষয়টি মীমাংসা করেন এবং বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম ‘সি’ ক্যাটাগরির ৬৭ জন আহতদের মাঝে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেন।এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কাজে উপজেলায় অবস্থান করছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় সাত উপজেলা থেকে নির্বাচিতদের প্রকল্প ছিলো। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বক্তা ছিলো। সবার অনুরোধে মেলায় প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখতে হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে দুইটি অনুষ্ঠান থাকায় দেরী হয়েছে।