জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কমিশনারকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী ওয়াহিদুল ইসলাম কাননের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন সম্প্রতি দেওয়ানগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সহকারী ভূমি কমিশনারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার আসামি কে ব্যক্তিগত সহযোগিতার নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ওই কর্মকর্তা তার পরিবারে হস্তক্ষেপ করছেন।

তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন চিত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্যামলী খাতুন ও তার স্বামী কাননের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে তালাকপ্রাপ্ত হোন শ্যামলী খাতুন। তালাকের পর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যাক্তিগত ক্ষোভ থেকে সহকারী ভূমি কমিশনারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, সহকারী ভূমি কমিশনার একজন সৎ,ন্যায়পরায়ণ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভূমি অফিসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে কাজ করছি। তিনি সবসময় আইন ও নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে তিনি কখনো পদক্ষেপ নেননি।" 

এবিষয়ে সহকারী ভূমি কমিশনার জানান, অফিস সহকারী কানন ও তার স্ত্রী শ্যামলী খাতুন এর
মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে  দ্বন্দ্ব চলছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান এই চলমান মামলায় হস্তক্ষেপ করার কোন এখতিয়ার নেই আমার। 

কাননের স্ত্রী আমার কাছে তার প্রাক্তন স্বামী কানন"কে চাকুরী থেকে বরখাস্তের জন্য বলে কিন্তু  বিষয়টি যেহেতু আদালতে মামলা চলমান তাহলে সেখানে কাননের বিরুদ্ধে আমি কি ভাবে ব্যবস্থা নিবো। অভিযোগের বিষয়টি ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে, মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। আমি কারো পারিবারিক বিষয় হস্তক্ষেপ আগেও করিনি এখনো করি না। আমাকে জড়িয়ে এই মিথ্যা বানোয়াট বিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছে, আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

স্থানীয় সচেতন মহলও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ শুধু তাদের সুনাম নষ্ট করে না, বরং সরকারি কাজের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে। তারা এমন অসত্য প্রচারণার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে৷