নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে।ট্রলারটিতে ১১ জন যাত্রী ও ১জন ট্রলার চালকসহ মোট ১২ জন লোক ছিলেন।এতে ৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও বাকি ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে।ট্রলারটিতে ১১ জন যাত্রী ও ১জন ট্রলার চালকসহ মোট ১২ জন লোক ছিলেন।এতে ৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও বাকি ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গজারিয়া ঘাঁটের অদূরে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিখোঁজরা হলেন-সুমনা আক্তার(২৫),তার দুই মেয়ে জান্নাতুল মারওয়া(১০)ও সাফা(৪).ইমাদ হোসেন (২) ও সাব্বির হোসেন(৪০) এবং মারিয়া(৮)।নারায়ণগঞ্জ কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।উদ্ধার হওয়া যাত্রী মোহাম্মদ রিয়াদ জানায়-শুক্রবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর এলাকা থেকে ১১ জন আত্মীয়-স্বজন মিলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় হৈচৈ পার্ক থেকে বিনোদন শেষে নৌ ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যায় ট্রলারযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।তাদের ট্রলারটি মাঝ নদীতে পৌঁছালে বালুবাহী একটি বাল্কহেড সজোড়ে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি পানির নীচে ডুবে যায়।এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেলে তাদের সহযোগিতায় ১২ জনের মধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করা হলেও বাকি ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।নিখোঁজের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জন রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জানান-আমার ছোট ভাই সেনাবাহিনীতে সরকারি চাকরি করেন।ছুটির সুবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সপরিবার নিয়ে ফুলদি গ্রামের বাড়িতে আসেন।শুক্রবার বিকেলে ট্রলারযোগে আমার ভাই মফিজুল ইসলাম ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ তার খালা শাশুড়ি,এক বায়রা ও তার বাচ্চারা ভ্রমণে বের হয়ে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।এদের মধ্যে ১ জন ট্রলার চালকও ছিলেন।ফায়ার সার্ভিস মুন্সিগঞ্জ সদর ইউনিটের লিডার মনিরুজ্জামান জানায়-নিখোঁজের মধ্যে ৪ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছে।

বৈরী আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় অভিযান চালানো যাচ্ছে না।সকাল হলে আমাদের অভিযান তৎপরতা চলবে।গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ইজাজউদ্দিন বলেন-আমরা ৯৯৯ এ খবর পাই।নৌকা ম্যানেজ করতে না পারায় ও নদী উত্তাল ও ঢেউ থাকার কারণে ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।শুনেছি ৬ জন স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।এদের মধ্যে ২ জন মফিজুল ইসলাম ও শিরিন আক্তার মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।পরবর্তীতে জানা যায়-সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও মুন্সিগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছে।