মহিলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জুই শায়লার বিরুদ্ধে একাধিক এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এটি একটি গুরুতর বিষয়, যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও বৈধতার প্রশ্ন তোলে।
সম্প্রতি, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে জুই শায়লা হরতাল-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন। তারা যদি জেলে যান, তবে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত হবেন, আর যদি বাইরে থাকেন, তাহলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও ধোঁকা দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করবেন। যেভাবেই তাদের দেখা হোক না কেন, তারা নিজেদের সুবিধামতো অবস্থান নিশ্চিত করবেন। সমাজে এই ধরনের ক্ষতিকর ব্যক্তি কখনোই নির্মূল হবে না; বরং তারা সব সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকবে। এছাড়াও, তার স্বামী গফুর মিয়া (পিতা: লাল মিয়া, গ্রাম: ভাদাইল, থানা: আশুলিয়া) রাজনৈতিকভাবে বিএনপির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দম্পতি রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছেন। তারা সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি করাসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জুই শায়লা এমন কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি বা প্রতারণামূলক অবৈধ কাজ নেই, যা তিনি করেননি। কোর্টে তার বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে, এবং তিনি সাধারণ মানুষের জীবনে অস্থিরতা ও হয়রানি সৃষ্টি করছেন। তিনি এমপি মন্ত্রীদের ক্ষমতা দিয়ে অনেক অবৈধ সম্পদের পাহাড় করছে, একাধিক ক্লাবের মেম্বারশিপ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে তদবির করিয়ে অনেককে জেল হাজতে পর্যন্ত পাঠিয়েছেন। বর্তমানে, স্বামীর বিএনপি-সম্পর্কিত প্রভাব ব্যবহার করে তিনি এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অডিও ফাঁস হয়েছে, যা তার অপরাধের প্রমাণ বহন করে।
· বাবাকে রিটায়ার্ড মেজর পরিচয় দেয়, অথচ তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্টের একজন ক্লিনার ছিলেন।
· এসএসসি পাস করেননি, কিন্তু পরিচয় দেন যে তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ও এমবিএ করেছেন।
· ভুয়া মাস্টার্স ডিগ্রি সার্টিফিকেট ব্যবহার করে উত্তরা ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন।
· একাধিক টিন (কর শনাক্তকরণ নম্বর)এবং ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে।
· মায়ের নাম একাধিকবার পরিবর্তন করেছেন—বেগম @ আসমা আক্তার।
· নিজের নাম একাধিকবার পরিবর্তন করেছেন—জেসমিন আক্তার জুই ওরফে জুই শায়লা।
· শেখ সেলিমের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
· গ্রামের বাড়ি আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকায়।
· উত্তরা ক্লাবের সদস্যপদ ৮০ লাখ টাকা দিয়ে গ্রহণ করেছেন (আইডি: S-140)।
· পূর্বাচল ক্লাবের সদস্যপদ ৫০ লাখ টাকা দিয়ে গ্রহণ করেছেন।
· বোর্ড ক্লাবের সদস্যপদ ২০ লাখ টাকা দিয়ে গ্রহণ করেছেন (আইডি: PJ-20)।
· সাহারা আপার আমলে রাজলক্ষ্মী আলাউদ্দিন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় দুটি দোকানের মালিক হন।
· হাবিব হাসানের মাধ্যমে দক্ষিণ নর্দান ইউনিভার্সিটির পাশেসাত কাঠা জমি দখল করেছেন।
· এশিয়ান সিটিতে পাঁচ কাঠা জমি ক্রয় করেছেন।
· দক্ষিণ গাজীরচট এলাকায় দুই কাঠার ওপর সাততলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
·উত্তরা পূর্ব থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, জুই শায়লার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার তথ্য আদালতের নথিপত্রে যাচাই করা যেতে পারে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি অডিও তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে।