ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝালকাঠি জেলা শাখার পক্ষ থেকে নবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলনের এক নেতার উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৩নং নবগ্রাম ইউনিয়নের একটি মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আক্রান্ত ইসলামি আন্দোলনের ৩নং নবগ্রাম ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ আল আমিন। স্থানীয়দের মতে, আছরের নামাজের পূর্বে তাপস তালূকদার ও তার সহযোগীরা মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মাওলানা আল আমিনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তার দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং মসজিদের ভিতরেই তার উপর শারীরিক আঘাত করা হয়।
হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাদ মাগরিব একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। তবে সেখানে আবারও হামলা চালানো হয়, যার ফলে ইসলামী আন্দোলনের আরও কয়েকজন কর্মী আহত হন।
ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোঃ আলমগীর হোসেন এবং সেক্রেটারি হাফেজ মাওঃ ইব্রাহীম আল হাদী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, "বিএনপি যেভাবে ভিন্ন মতকে দমন করার জন্য স্বৈচারী ভূমিকা গ্রহণ করছে তা কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তাতে সাধারণ মানুষ আতংকিত। তাদের এ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাই।"
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "এ ধরণের অপতৎপরতা চলতে থাকলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাই।"
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝালকাঠি জেলা শাখার দাওয়াহ ও প্রচার সম্পাদক আকন মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, "আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাতে এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে।"
এই ঘটনা স্থানীয় রাজনীতি ও সামাজিক শৃঙ্খলার উপর কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এছাড়াও তারা আগামীকাল এর বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন।