ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক দ্বীন মোহাম্মদ জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনের লাশ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

ঝালকাঠির রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান গেলো ভান্ডারিয়ার পিতা সালাম মোল্লা ও ছেলে শাহিন মোল্লার। নিহত শাহিন মোল্লা (৪০) পিতাঃ আব্দুস সালাম মোল্লা ও আব্দুস সালাম মোল্লা (৭৫) পিতাঃ মৃত মুজাফফা আলী মোল্লা উপজেলার উত্তর পূর্ব ভান্ডারিয়ার মোল্লা বাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা।গত ২২ জুলাই সকালে পিরজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাস স্ট্যান্ড (কালিমা চত্তর) থেকে প্রায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বিভাগীয় শহর বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা করলে পথি মধ্যে সকাল শোয়া ১০টার দিকে বরিশাল খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে যাত্রীবাহী বাসটি পদচ্যুত হয়ে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা প্রায় ১৭ জন যাত্রীর মৃত্যুর ও ২০ জন এর অধিক যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আহত মোঃ রাসেল মোল্লা (৩৫) জানান, আমি গাড়িতে চালকের পিছনের ছিটে বসে ছিলাম। যাত্রার শুরু থেকেই বাস চালক অতিরিক্ত যাত্রী তোলার জন্য বারবার সুপারভাইজারের সাথে কথা বলছিল। চালক অমনোযোগী থাকায় ছত্রকান্দা স্ট্যান্ড ছেড়ে এসেই বাসটি ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে পড়ে যায়। চালকের অমনোযোগীর জন্যই আমার বাবা আব্দুস সালাম মোল্লা ও বড় ভাই শাহিন মোল্লা নিহত হয়েছেন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক দ্বীন মোহাম্মদ জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনের লাশ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। এছারাও ২০ জন আহত রোগী ভর্তি হয়েছে। অধিকাংশ রোগীরা অতিরিক্ত পানি খেয়ে ফেলেছেন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ দিকে, নিহত সালাম মোল্লার স্ত্রী সাহিনুর বেগম ও শাহিন মোল্লার স্ত্রী নাজমা জানান, সালাম মোল্লা একজন হার্টের রোগী ছিলেন, তাহার উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে তাহার দুই ছেলে শাহিন ও রাসেলের সাথে বরিশাল রওনা করলে পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রান হারায় তারা।

খবর পেয়ে স্বজনরা ও স্থানীরা লাশের শেষ দেখার অপেক্ষায় ভীর জমিয়েছেন। ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় জানান, ঝালকাঠির রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া ১৭ জনের মধ্যে ভান্ডারিয়া উপজেলার ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সালাম মোল্লা ও শাহিন মোল্লা। ৭নং ওয়ার্ডের ঔষধ এর ব্যবসায়ী মোঃ তারেক মাহমুদ। ১ নং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের রাবেয়া বেগম। ২নং নদ্মুলা ইউনিয়নের সুমাইয়া। ৩ নং তেলিখালি ইউনিয়নের সাদিয়া। ৫নং ধাওয়া ইউনিয়নের কালাম ও রাহিমা বেগম এই দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে গভীর শোক, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন।