তিনি বলেন, নাইমুল ইসলাম (বাইরা) সোহড়া পাড়া স্কিমের গভীর নলকূপের অপারেটর ইউসুফ আলীর সাথে কথা বলে চুক্তি করেন বিএমডিএর ইন্সপেক্টর মোতাহারের সাথে। সোলেমান পিতা নইমুউদ্দিনকে কাগঠিয়া স্কিনভক্ত ডীপ টিউবয়েলের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চুক্তিতে এই টাকা লেনদেন করেন জানান আলেয়ারা আক্তুন। টাকা লেনদেনের এক পর্যায়ে আলেয়ার া প্রতিবাদ জানালে তর্কে জড়ানো ইন্সপেক্টর মোতাহার। তিনি বলেন, আমরা কাকে অপারেটরে নিয়োগ দিব সেটা আমাদের বিষয় আপনি এখানে বলার কে। এতে তর্কে না জড়িয়ে চলে আসেন তিনি। টাকা লেনদেনের দৃশ্য দেখতেপান উপজেলার জৈট্যাবটতলা এলাকায়।
মোতাহার আলী টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তার কাছে চাবি জব্দ করেছি। আমি কোন টাকা নেইনি। সাবেক অপারেটর মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত কাগঠিয়া স্কিমের ডিপের অপারেটর হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু বরেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মোতাহার টাকার প্রলোভনে পড়ে আমাকে চাকুরী চ্যুতির পাইতারা করছে। আমার স্কিমে স্কিম ভুক্ত জমির পরিমাণ ১৫৫ বিঘা। কিন্তু এই স্কিম জমির চাষ হয় ৩২০ বিঘা। এর মধ্যে ৫/৬ জন কৃষক মোতাহারের সাথে মিশে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার পক্ষে ৮১ জন স্কিম ভুক্ত কৃষক আছে এবং তাদের জমির পরিমাণ ৩১১ বিঘা। বাকি ৮/৯ দীঘা জমির মালিকরা আমার বিপক্ষে কাজ করছে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে এমনটি করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী মোজাম্মেল। তিনি বলেন, আমার ১৮ বছরের অপারেটর জীবনে কখনো কৃষকদের সাথে আমার তর্ক হয়নি। অথচ হাতেগোনা কয়েকজন কৃষকের পক্ষপাতিত্ব করছেন বরেন্দ্র অফিস। কাগঠিয়া স্কিমের কৃষক ফারুক হোসেন (৬২) বলেন, আমরা কখনো মোজাম্মেলের খারাপ ব্যবহার দেখিনি। মোজাম্মেল সবার সাথে মিলেমিশেই পানি সরবরাহ করেন। সবার সাথে কাজ করতে গিয়ে হয়তো কয়েকজনের মন জোগাতে পারেনা। তাই বলে লোকটার হাত থেকে চাবি কেড়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। সাঈদ আলী (৬৫) বলেন, মোজাম্মেল ভালো লোক। তার মত কেউ পানি বন্টন করতে পারেনা। তাকে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। গোদাগাড়ী জোন-১ এর সহকারের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন মোজাম্মেলকে রাখতে হবে এমন কোন কথা আছে? এটা অপারেটর নিয়ে এত ভাববার সময় নেই। আপনার যা কিছু লিখতে পারেন বলে কথা বলতে রাজি হয়নি।