যথা সময়ে প্রতিমা সাজিয়ে পূজারীদের হাতে তুলে দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা বানানোর কাজ করছেন তারা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিবছর শরৎ ঋতুতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পূজা উদযাপন প্রস্তুতি ব্যাপক আগে থেকেই নেওয়া হয়। আজ ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় পূজা শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে সামনে রেখে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎ শিল্পীরা।

যথা সময়ে প্রতিমা সাজিয়ে পূজারীদের হাতে তুলে দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা বানানোর কাজ করছেন তারা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিবছর শরৎ ঋতুতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পূজা উদযাপন প্রস্তুতি ব্যাপক আগে থেকেই নেওয়া হয়। আজ ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

ইতিমধ্যে পূজা উদযাপন প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে উপজেলার সকল পূজা মন্ডপ। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা এবং ১৩ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিমা মন্ডপে গিয়ে দেখা যায় শেষ মুহূর্তের কাজ করছেন মৃৎ শিল্পীরা। সময় কম থাকায় দ্রততার সাথে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। প্রতিমা তৈরি কারিগর মৃৎশিল্পী জীবন পাল বলেন পেশাগত ভাবে আমরা প্রতিমা তৈরির কারিগর।

আমরা আরো প্রায় ১ মাস আগে থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবছরের তুলনায় এবছর প্রতিমার সংখ্যা কম। কিন্তু প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও, বাড়েনি আমাদের পারিশ্রমিক। আর তাই লাভ না হলেও পেশা ধরে রাখতে আমাদের কাজ চলমান আছে। প্রতিমা তৈরি মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিমার আকার ও সাজসজ্জা অনুযায়ী আমরা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করি।নাগরপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিব শংকর সূত্রধর বলেন উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৩০টি মন্ডপে পূজা প্রস্তুতির কাজ চলছে। পুজা নির্বিঘ্নে করতে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নাগরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) দ্বীপ ভৌমিক বলেন, কিছু দিন পূর্বেই আমরা দুর্গা পূজা উপলক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। সেখানে নাগরপুর থানা পুলিশ, নাগরপুরে দায়িত্বরত আর্মি অফিসার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সহ নাগরপুরের সকল পূজা মন্ডল কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবছর নাগরপুর উপজেলায় ১৩০ টি মন্ডপে পূজা হবে। আমরা উপজেলা প্রশাসন নির্বিঘ্নে পূজা পরিচালনা করতে প্রস্তুত আছি যেনো কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা আমাদের কাম্য। যদি কেও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে।