ফিশিং বোটে করে সাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে অনুপ্রবেশ করলো নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা।
রোববার দুপুরে টেকনাফের সাবরাংয়ের মুন্ডার ডেইল ঘাট এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। তাঁরা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি। এদের মধ্য ৫ নারী, ১০ শিশু ও ২১ পুরুষ রয়েছে। 
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম। তিনি বলেন, 'মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরো একটা রোহিঙ্গা বোঝাই বোট সাগরে ভাসছে বলে জানা গেছে।' 
চার দিন সাগরে ভাসমান থাকা মোঃ আলম জানান (৩০), আকিয়াবের পূর্বে নাঁশং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে "মগ বাগি " আরকান আর্মি  রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে  একটি কাঠের বোট নিয়ে গত পাঁচদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি। আমাদের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার একটি ট্রলার টেনে নিয়ে আমাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
একই এলাকার রোহিঙ্গা জাহের আলম জানান, আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম আছে। সেখান থেকে জোরপূর্বক ভাবে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ করাচ্ছে। এবং রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে। মগ বাগির (আরকান আর্মির) দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাই। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতেছে আরাকান আর্মি । যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে তাই বাংলাদেশে চলে আসি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো.এহসান উদ্দিন বলেন, 'রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।' 
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান সাগর পথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে বলেন,খুরেরমুখ অস্থায়ী চেকপোস্ট হতে আনুমানিক ১ কিঃ মিঃ উত্তর দিকে মুন্ডার ডেইল নামক এলাকা দিয়ে মায়ানমারের ৩৬ জন (পুরুষ-১৬, মহিলা-৫ ও শিশু-১০) নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির আভিযানিক দল কর্তৃক তা প্রতিহত করা হয়েছে। বিজিবির তৎপরতায় অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হয়ে মায়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন বর্তমানে চলমান রয়েছে বলেও জানান অধিনায়ক।