ভোক্তভোগীরা জানান, টেকনাফ মডেল থানায় বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব ভূমিকায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। এ ছাড়াও টেকনাফ উপজেলার, হ্নীলা ইউনিয়ন, টেকনাফ সদর, বাহার ছড়া, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ পৌরসভাসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘঠিত হচ্ছে।

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে দিন দিন বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। যেমন ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচার, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ইয়াবা কারবারিদের আধিপত্য বিস্তার, জমি দখল, অপহরণ বাণিজ্যসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে।

তবে স্থানীয়দের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো ভূমিকা না থাকায় দিন দিন অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।জানা গেছে, গত এক মাসের ব্যবধানে টেকনাফ পৌরসভার কে কে পাড়া এলাকার সরকারি কলেজের ছাত্র মো. ফারুকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমুড়া এলাকার আব্দু সালামের ছেলে মোহাম্মদ আতিককে (২২) ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণে ছাড়া, টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় মো. জলিল আহমদের মেয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু তাহমিনা হত্যার ঘটনা, টেকনাফ সদর নাজির পাড়া এলাকার শামশুল আলমের পা কেটে হত্যা চেষ্টা, টেকনাফ সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকায় বদিউর রহমান ছেলে জাহেদ হোছন তার জেঠাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে।

ভোক্তভোগীরা জানান, টেকনাফ মডেল থানায় বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব ভূমিকায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। এ ছাড়াও টেকনাফ উপজেলার, হ্নীলা ইউনিয়ন, টেকনাফ সদর, বাহার ছড়া, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ পৌরসভাসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘঠিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে । সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে নিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মামলার পরোয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা আবারও অপহরণ বাণিজ্য চালাচ্ছে। পুলিশের টহল জোরদার না থাকায় অপরাধীদের আধিপত্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযান জোরদার করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন তিনি।টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শীঘ্রই আমাদের অভিযান শুরু হবে। অপহরণ চক্র, মাদক সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।