সরেজমিনে দেখা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার রেলস্টেশন এলাকা অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকান বসানো হয়েছে। তা ছাড়া শীতকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিক মেলার, বালডাঙ্গি উপজেলায় মেলা, আবার নেকমরদ ওরস মেলা এগুলোতে প্রচুর শীতবস্ত্র কেনা-বেচা হয়েছে। এসব দোকানে শীতের কাপড়ে ভরপুর। কমবেশি প্রত্যেকটা দোকানেই শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। গেদুড়া মলানী বাজারেও তুলনা মুলক ক্রেতা অনেক। শীতের মাত্রা বাড়ায় এসব দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড়ের মাত্রাও বেড়ে গেছে। অনেক দোকানে এক দামে পোশাক বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
আবার বেশির ভাগ দোকানে দর দাম করে পোশাক কিনছেন অনেকে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা বা তার অধিক দামের পোশাক বিকিকিনি হয় এসব দোকান গুলোতে। শীতবস্ত্র দেখছেন ক্রেতারা। (১০ জানুয়ারি) গুগল থেকে জানা যায়, সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীতবস্ত্র বিক্রেতা মোঃ ইউসুফ মর্নিংপোস্টকে জানান, শীত বাড়তে থাকায় আগের তুলনায় এখন তাদের বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে মোকাম থেকে। কয়েক সপ্তাহ আগেও মাঝারি মাপের একেকটি সোয়েটার রকমভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি করা হতো। এখন সেই মানের সোয়েটার ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে লাভ আগের মতোই হচ্ছে দাবি এ বিক্রেতার।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা তারেক হাসান নামে একজন ক্রেতা মর্নিং পোস্টকে জানান, পারিবারিক খরচ চালাতে গিয়ে হাতে তেমন টাকা পয়সা থাকে না। এছাড়া শীতবস্ত্রের দোকানে ভালো মানের পোশাক কম দামে পাওয়া যায়। শীত বাড়ায় তিনি এখান থেকে এক’টি সোয়েটার ৩৫০ টাকা করে কিনেছেন। শীত বাড়ায় পোশাকের দাম আগের তুলনায় খানিকটা বেশি বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাকিব নামের অপর ক্রেতা মর্নিং পোস্টকে জানান, শীতের পোশাক হিসেবে এখান থেকে তিনি একটি সোয়েটার ও একটি জিন্স প্যান্ট ক্রয় করেছেন। সোয়েটারের দাম পড়েছে ৩৫০ টাকা আর প্যান্টের দাম ৬০০ টাকা। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও এ মানের সোয়েটার ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও প্যান্টের দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।