নওগাঁর জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভেড়ম মৌজার সোনাদিঘী পুকুরের নির্মান কাজ চলাকালীন সময়েই একটি গাইড ওয়াল ধ্বসে পড়েছে। ভেড়ম গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে উক্ত রাস্তাটি, পুকুরের তীরে নির্মিত গাইড ওয়াল ধ্বসে পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নির্মানের কার্যক্রম অব্যাহত থাকালীন সময়েই অপর অংশের নব নির্মিত গাইড ওয়ালটি ধ্বসে পড়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন জেগে উঠেছে।
পুকুরটি সরকারি লিজপ্রাত মো. রুহুল আমিন জানান, আমি এই গাইড ওয়াল নির্মানকালীন সময়ে ঠিকাদারকে বারংবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা কাজটি নিয়ম-মাফিক করেননি।
তাদের এই গাইড ওয়ালের জন্য সম্পূর্ণ পুকুরের পানি সেচে ফেলে এমতাবস্থায় তাদের কাজের ঢিলেমিতে আমার লিজকৃত পুকুরে মাছ ছাড়ার মৌসুম পেরিয়ে যায় এতে করে আমি ২ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হই। নির্মাণ কাজে এত সহযোগিতার পরও তাদের এমন অনিয়মে এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তাটি পুনরায় ধ্বসে পড়ছে।
আমি আর্থিক ক্ষতিপূরন এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ পূর্বক উক্ত অনিয়মের যথাযথ বিচার চাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাগেছে, সোনাদিঘী নামে খ্যাত পুকুর পাড় রক্ষার্থে ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে ২.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় প্রায় ৯৫০ মিটার লম্বা গাইড ওয়ালটি। একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওই গাইড ওয়ালের নির্মাণ কাজ করে। ঠিকাদারকে বারংবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প গ্রহন এবং সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় সোমবার ওই গাইড ওয়াল ধ্বসে পড়েছে বলে দাবী করেন এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে ধামইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার আলী পলাতক থাকায় তার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জেসমিন আক্তার বলেন, তদন্তের পর নির্মাণ কাজে অনিয়ম পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইণানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।